, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ , ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


২৪ ঘণ্টায় উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল

  • আপলোড সময় : ১৩-১০-২০২৩ ১১:৩২:০০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-১০-২০২৩ ১১:৩২:০০ পূর্বাহ্ন
২৪ ঘণ্টায় উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে জানানো হয় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে থাকা সব ফিলিস্তিনিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে যেতে। দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কয়েকদিনের বোমা হামলায় দেড় হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যার পরে ইসরায়েল স্থল অভিযান চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর আলজাজিরার

জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ১১ লাখ লোককে উত্তরাঞ্চল থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এই সংখ্যা গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক। জাতিসংঘ ইসরায়েলের এই নির্দেশ বাতিলের জন্য জোরালোভাবে কাজ করছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ (আদেশ) গাজায় চলমান ট্র্যাজেডিকে আরও বেদনাদায়ক পরিস্থিতিতে রূপান্তরিত করতে পারে। গাজায় জাতিসংঘের সকল কর্মী, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ক্লিনিকের কর্মীসহ সবাইকে সরিয়ে নিতে বলেছে ইসরায়েল।

২৪ ঘণ্টায় এত বড় জনগোষ্ঠীর স্থানান্তরকে ‘অসম্ভব’ বলা হয়েছে জাতিসংঘের মুখপাত্রের বিবৃতিতে।

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে মূল গাজা সিটি, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির, বেইত লাহিয়া এবং বেইত হানুন অঞ্চল রয়েছে।

ইসরায়েলের চরম নৃশংসতার শিকার গাজার বাসিন্দারা। দখলদার বাহিনীর হাত থেকে থেকে ছাড় পাচ্ছে না শিশু ও নারীরাও। গত পাঁচ দিনের অব্যাহত হামলায় দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহতের মধ্যে চার শতাধিক শিশু রয়েছে। প্রায় ২৫০ নারী অকালে প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ইসরায়েলের হামলা থামছে না।

দখলদার বাহিনী শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। গাজায় খাবার সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিও বন্ধ করে দিয়েছে। জিম্মিদের মুক্তি না দিলে এগুলোর কোনো কিছুই গাজায় সরবরাহ না করার অঙ্গীকার করেছে তারা। ফলে গাজায় মানবিক সংকট গভীর থেকে আরও গভীর হয়েছে। হাসপাতালগুলো মর্গে পরিণত হচ্ছে।
 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে আরও রক্তপাত হতো: আসিফ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে আরও রক্তপাত হতো: আসিফ